আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুকে (১৯) স্থায়ী বহিষ্কারের পর এবার এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত এই ছাত্রী জিতুর প্রেমিকা ছিল বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল হাসান।
তিনি বলেন, জিতু একজন শিক্ষককে হত্যা করেছে, প্রতিষ্ঠানের সবাই স্বচক্ষে বিষয়টি দেখেছে।
শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করায় বখাটে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। জানতে পেরেছি তার জবানবন্দিতে সে এও উল্লেখ করেছে যে, মেয়েটার উসকানিতে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এবং ছাত্রছাত্রীদের মুখে বর্তমানে এটাই প্রচলিত। ওটাই সত্য বলে সবাই মনে করছে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, অনেকগুলো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এই মূহুর্তে মেয়েটি ক্লাসে আসলে তার নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দিবে এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একটা অসহিষ্ণুতা তৈরি হতে পারে। বিষয়টি আদালতে গড়াক, যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে সেহেতু যদি তার নাম পাওয়া যায় তাহলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে আর যদি সত্যি সত্যি দেখা যায় সে নির্দোষ তাহলে তার বহিষ্কার আদেশ আমরা তুলে নিব। পরে সে আবার ক্লাস করতে পারবে।
এদিকে শিক্ষক হামলার ঘটনার পর থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আজ শনিবার খুলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশুলিয়া থানার একটি টহল গাড়ি ছিল।
গত ২৫ জুন দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী কলেজের মাঠে প্রকাশ্যে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিতু। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান তিনি। সেদিন থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছিলেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে ২৮ জুন রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিতুর বাবা উজ্জ্বল হাজীকে ও ২৯ জুন গাজীপুর থেকে জিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়।